স্বদেশ ডেস্ক:
নেত্রকোনার মদনের পল্লীতে এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মাসুম (২২) নামের এক কলেজছাত্রের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকায় দফায় দফায় সালিসি বৈঠক হলেও এর কোনো সুরাহা হয়নি। পরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য গতকাল রোববার মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তার বাবা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মাসুম মিয়া নয়াপাড়া গ্রামের ইকবাল মিয়ার ছেলে এবং ময়মনসিংহ রয়েল মিডিয়া কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
স্কুলছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, মাঘান নয়াপাড়া গ্রামের অভিযুক্ত মাসুম মিয়া প্রতিবেশী ওই স্কুলছাত্রীকে প্রায় সময় উত্ত্যক্ত করতো। শুধু তাই নয়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ওই স্কুলছাত্রীকে সে ধর্ষণ করেছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১১টায় ওই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে নিজ ঘরে ধর্ষণ করে মাসুম। এ নিয়ে শুক্রবার সকালে এলাকায় সালিসি বৈঠক হলেও এর কোনো সুরাহা হয়নি। ঘটনার পর থেকে মাসুম তার নিজ বাড়িতে ওই স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখেছে। তাকে উদ্ধার করতে রোববার মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তার বাবা।
ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়েকে প্রায় সময় বিরক্ত করতো মাসুম। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে সে। এলাকার মাতব্বরদের কাছে ধর্ষণের ঘটনা খুলে বলেছে আমার মেয়ে। কিন্তু মাসুম মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন প্রভাবশালী হওয়ায় আমার মেয়েকে আটকে রেখে নির্যাতন করছে। বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। ’
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে মাসুম মিয়ার মা শেফালী আক্তার বলেন, ‘মেয়েটির সঙ্গে আমার ছেলের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। মেয়েটি আমার বাড়িতেই আছে। মাসুম শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ কলেজে চলে গেছে। প্রাপ্ত বয়স হলে দুজনকে বিয়ে দিবো। ’
জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার দেন-দরবার হয়েছে। দরবারে উপস্থিত সকলের সামনে মেয়েটি বলেছে, তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে মাসুম মিয়া। মেয়েটি বর্তমানে ছেলের বাড়িতেই আছে।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মাজেদুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে একটি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।